রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

কোন অ্যান্টাসিড ওষুধ কীভাবে কাজ করে
সোডিয়াম বাই কার্বোনেট অ্যাসিডের জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষার জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধ। এটি বেকিং সোডা নামেও পরিচিত। তবে এটি অন্যান্য অ্যান্টাসিডের তুলনায় কম শক্তিশালী এবং এতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে।

অম্বল বা বুক জ্বালাপোড়া ইংরেজিতে যাকে হার্টবার্ন বলে, তার জন্য আমরা সাধারণত ওভার-দ্য-কাউন্টার হিসেবে অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ সেবন করি। এগুলো পাকস্থলী এবং খাদ্যনালির ডাইজেস্টিভ অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করে। যাদের মৃদু কিংবা মাঝে মাঝে বুক জ্বালাপোড়া হয়, তাদের ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ করে। বেশিভাগ লোক ট্যাবলেট ফর্মে প্রস্তুতকৃত ওষুধ চুষে খান এবং সুবিধাজনক মনে করেন। তবে তরল ফর্মে থাকা সিরাপ দ্রুত স্বস্তি দিতে পারে।

চলুন জেনে নিই কোন অ্যান্টাসিড কেমন কাজ করে:

ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড: বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় অ্যান্টাসিডগুলোর একটি এই ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড। কারণ এগুলো পাকস্থলী কিংবা খাদ্যনালির জ্বালাপোড়া থেকে দ্রুত উপশম এনে দেয়। ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিডগুলোর সম্ভাব্য সাইড-অ্যাফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো, এগুলো সেবনে ডায়রিয়ার মতো পাতলা পায়খানা হতে পারে।

অ্যালুমিনিয়ামভিত্তিক অ্যান্টাসিড: যেসব অ্যান্টাসিডে অ্যালুমিনিয়াম আছে, সেগুলো ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিডগুলোর মতো দ্রুত উপশম দেয় বটে, তবে এগুলোতে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

ক্যালসিয়ামভিত্তিক অ্যান্টাসিড: ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধগুলো তৈরিতে চক পাউডার এবং ঝিনুকের খোলস ব্যবহৃত হয়ে আসছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। বাজারে আধুনিক ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড পাওয়া যায়। তবে ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিডগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে এবং অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে রক্তে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম স্তর দেখা দিতে পারে।

কম্বিনেশন প্রোডাক্ট: গ্যাভিসকনে অ্যালুমিনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট রয়েছে এবং এটি ট্যাবলেট এবং তরল (সিরাপ)– দুই ফর্মেই পাওয়া যায়। এটি পাকস্থলী এবং খাদ্যনালিতে একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর গঠন করে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সকে ব্লক করতে সক্ষম।

সোডিয়াম বাই কার্বনেট: সোডিয়াম বাই কার্বোনেট অ্যাসিডের জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষার জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধ। এটি বেকিং সোডা নামেও পরিচিত। তবে এটি অন্যান্য অ্যান্টাসিডের তুলনায় কম শক্তিশালী এবং এতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। আপনি যদি লবণ-সীমাবদ্ধ ডায়েটে থাকেন, অর্থাৎ খাওয়ার লবণ গ্রহণ সীমাবদ্ধ করার পরামর্শ থাকে বা হার্ট ফেইলিওর, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা কিডনির সমস্যা থাকে, তাহলে সোডিয়াম বাই কার্বোনেটযুক্ত অ্যান্টাসিড গ্রহণ করবেন না।

এখানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখতে হবে। প্রথমত, কার্যকর হওয়ার জন্য ট্যাবলেটগুলো পুরোপুরি চুষে খাওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, অ্যান্টাসিড গ্রহণের সর্বোত্তম সময়টি খাবারের পরে বা লক্ষণগুলো দেখা দিলে। সবচেয়ে ভালো হয় অ্যান্টাসিড গ্রহণের আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে অনূদিতসুত্র: সারাক্ষণ. কম।

ভয়েস/ জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION